নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন যুবসমাজের মহানায়ক, তিনি একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর যোগ্য শিষ্য ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারকবাহক। তিনি সাংবাদিক ও কলাম লেখক ছিলেন। তার লেখাগুলো পুনঃপ্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। তার প্রতিষ্ঠিত দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাদেশ টাইমস ও সাপ্তাহিক সিনেমা এই তিনটি পত্রিকা পুনরায় নিয়মিত প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া আবশ্যক। তার অপ্রকাশিত লেখা প্রকাশ করা জরুরী। ১৯৭১ সালে বাংলার বাণীতে প্রকাশিত শেখ মনির লেখাগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নতুন প্রজন্মকে শেখ মনির কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবনী জানাতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর চর্চা বাড়াতে হবে। তিনি সরকারি উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানান।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী-যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি ও তার সহধর্মিনী আরজু মনি’র ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ২৮ আগস্ট শনিবার সকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স হলে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম.এ জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ডা. নিম চন্দ্র ভৌমিক। আরো বক্তব্য রাখেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, কৃষক লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভুইয়া কানু, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ দীপু মীর, শিক্ষা পর্যবেক্ষণ সোসাইটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি ফাতেমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন।